বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন সেবা কার্যক্রমে গতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে রেলওয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবু হেনা মোস্তফা আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, জনপ্রশাসন কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম, এস্টেট কর্মকর্তা মনজুর হোসেন, এবং ডিএমই (লোকো) কর্মকর্তা ধীমান ভৌমিকসহ বিভিন্ন দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
গণশুনানিতে অংশগ্রহণকারীরা রেলসেবা সংক্রান্ত নানা অভিযোগ, ভোগান্তি ও পরামর্শ তুলে ধরেন। তারা টিকিট ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ, ট্রেন চলাচলের সময়নিষ্ঠতা নিশ্চিতকরণ, নতুন ট্রেন সংযোজন, স্টেশন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, রেলওয়ে সম্পত্তি দখলমুক্তকরণ এবং কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা বৃদ্ধির দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, রেলওয়ে একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। তাই দুর্নীতি প্রতিরোধ, সেবার মানোন্নয়ন এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের অর্থে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত—‘জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া’।
প্রধান অতিথি ডিআরএম আবু হেনা মোস্তফা আলম বলেন,“গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের অভিযোগ, পরামর্শ ও চাহিদা সরাসরি শোনা যায়। এতে দ্রুত সমাধান সম্ভব হয় এবং প্রশাসনের কার্যক্রম আরও জনমুখী হয়ে ওঠে। ভবিষ্যতে নিয়মিত এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে রেলওয়েকে আরও সেবামুখী ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব হবে।”
গণশুনানি শেষে উপস্থিত সাধারণ মানুষ এ উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। তারা বলেন, অতীতে রেলওয়ের বিভিন্ন সমস্যা বা অভিযোগ জানানোর সুযোগ সীমিত ছিল; এখন সরাসরি কর্মকর্তাদের সামনে মতামত ও অভিযোগ উপস্থাপন করতে পারায় সমাধান প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, সহজ ও কার্যকর হচ্ছে।
